সারাদিন কাজ আর কাজ, উদয়াস্ত খাটুনি, হাতে সময় একদম নেই! এসবের ভিতর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া টা ই যেনো অগ্রাধিকার পায় না।
ব্যস্ততার কারণে এবং অনেকটা প্রয়োজনের খাতিরেই “স্বাস্থ্য ই সকল সুখের মূল” কথাটি আমরা ভুলতে বসেছি এবং ঝুঁকে গিয়েছি বাইরের ভাজাপোড়া ধরণের মুখরোচক খাবারের প্রতি। কিন্তু, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সেই সকল মুখরোচক এবং দৃষ্টিনন্দন খাবার শরীরের জন্যে ক্ষতিকর তো বটেই, তার সাথে সেই সকল খাবারে নেই কোন পুষ্টিগুণ! বাইরের এই সকল খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার, চিনি এবং অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি!
অথচ আমরা কিন্তু নিত্যদিন এই সকল খাবারই খাচ্ছি এবং বাচ্চাদেরও খাওয়াচ্ছি! যার ফলে অল্প বয়সেই হৃদপিন্ডের সমস্যা, ডায়বেটিস কিংবা উচ্চরক্তচাপের মতো রোগগুলো এসে দানা বাঁধতে শুরু করে দিচ্ছে আমাদের শরীরে।
দ্যা সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর পরিসংখ্যান এর গবেষণা মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি তিনজনের একজন মানুষ ডায়বেটিসে ভুগবে!
ভাবুন তো একবার এই ব্যাপারটি।
তাইতো হাবিজাবি খেয়ে পেট ভর্তি না করে, প্রতিদিনের পুষ্টি মেটাতে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। সুস্বাস্থ্য ও ওজন ঠিক রাখতে সঠিক খাদ্যতালিকার কোনো বিকল্প নেই।
আর এই সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় ফল থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
কেননা World Health Organization (WHO) এর মতে প্রতিটি মানুষের জন্য দৈনিক ২০০ গ্রাম বা দুই কাপ পরিমাণ ফল প্রয়োজন।
সকালের নাস্তায় বা বিকেলের আড্ডায় অথবা দুপুরে কিংবা রাতের মিষ্টি খাবার হিসেবে ফল কিন্তু দারুণ মুখরোচক। প্রায় সব ধরণের ফলের স্বাদই মিষ্টি এবং কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ঝটপট করে খেয়ে নিতে পারবেন আপনি। তাছাড়া ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার, খুব কম বা শূন্য ফ্যাট। আর বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করার জন্য দরকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোও পাওয়া যায় এই ফল থেকেই! ফল অথবা ফলের সালাদ খেতে যেমন দারুণ, আপনার শরীরের জন্যেও কিন্তু সেটি দারুণ উপকারী।
প্রতিদিন ঠিক কি কি ফল কতোটা খাবেন তার একটা তালিকা করা থাকলে ব্যাপারটা আসলেই অনেক সহজ হয়ে যায়! এই যেমন ধরুন –
আপেল- একটা
কলা- বড় একটা
শসা- ১ কাপ বা বড় একটা শসার অর্ধেক
আঙ্গুর- ১ কাপ বা ৩২টা আঙ্গুর
আম- ১ কাপ বা একটা মাঝারি আম
কমলা- বড় একটা
নাশপাতি- মাঝারি একটা
আনারস- ১ কাপ অথবা ছোট একটা আনারসের অর্ধেক
স্ট্রবেরি- বড় ৮টা বা কোয়ার্টার কাপ
টমেটো- মাঝারি একটা
বাদাম- কোয়ার্টার কাপ পিনাট, অামন্ড বা অন্যান্য বাদাম
এছাড়াও অ্যাপ্রিকট, অ্যাভোকাডো, তরমুজ, খেজুর, ডুমুর, জাম্বুরা, কিউই, বেরি, চেরি, লেবু, লিচু, পেঁপে, বরই, ডালিম, বিন জাতীয় কিছু ইত্যাদি – এক কাপ পরিমাণ বা মাঝারি সাইজের যে কোনো ফল একটা।
স্বাস্থ্য আপনার তাই খেয়ালটাও রাখতে হবে আপনাকেই। মুখরোচক এবং দৃষ্টিনন্দন খাবারের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেকে অসুস্থ বানিয়ে ফেলাটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মতো কাজ নয়। বরং চেষ্টা করুন, উপরে উল্লেখ্য ফলসমূহের থেকে যে কোন ধরনের ফল কিছু পরিমাণে হলেও প্রতিদিন খেতে, যা আপনাকে সুস্থ ও ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
Thanks for nice feedback 🙂
Good website and I even like comments here.
חשפניות בצפון